ঢাকা, রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

আজ সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’

আজ সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ - ছবি : নিউজমিডিয়া24

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে সারা দেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, সারা দেশের সব মহাসড়ক ও রেলপথ এ ব্লকেডের আওতাভুক্ত থাকবে। আজ সকাল ১০টা থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি। কর্মসূচিতে সারা দেশের সড়কপথ, রেলপথ আওতাভুক্ত থাকবে। রাজধানীসহ দেশের ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আওতায় আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, কোটাপ্রথা সম্পূর্ণভাবে বাতিল আমরা চাই না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক মাত্রা কোটা রাখার দাবি আমরা আগেই স্পষ্ট করেছি। আদালতে ২০১৮ সালের পরিপত্র ঘোষণা করেছিল সেখানে কোটার সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। সেই পরিপত্র আমরা চাই না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ৫-১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবিটা সরকার ও নির্বাহী বিভাগের প্রতি। আমাদের আন্দোলনটা হাইকোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যেহেতু আমাদের এক দফা হচ্ছে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্করণ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকার ও নির্বাহী বিভাগ থেকে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক মাত্রা কোটা রেখে নতুন পরিপত্র ঘোষণা করে সংসদে আইন পাস করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বুধবার থেকে ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো অবরোধ করে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি সফল করবে বলে আশা করছি। আজকের ব্লকেডে সড়কপথ, রেলপথ আওতাভুক্ত থাকবে। তবে এখনো মেট্রোরেল ব্লকেড করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

কোটা আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, আমাদের আন্দোলনের ফলে যে ভোগান্তি হচ্ছে, এর দায় সরকারের নির্বাহী বিভাগকে নিতে হবে। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। জনগণ, প্রশাসনের থেকে আমাদের এই আন্দোলনের পূর্ণ সর্মথন রয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে থাকতে চাই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, কোটা সংস্কারপূর্বক আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে দেয়া হোক। নতুবা অভিনব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীসমাজ।
কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক শারজিস আলম বলেন, আমাদের দাবিটি নির্বাহী বিভাগের কাছে। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে থাকতে চায়। যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র দেয়া হয় যে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক ঘোষণা দেয়া হবে, তাহলে আমরা রাজপথ ছেড়ে আনন্দ মিছিল করব।

আরো সংবাদ


AD HERE