২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬

আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও আছে রাজনৈতিক সমীকরণ

আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও আছে রাজনৈতিক সমীকরণ - ছবি : নিউজমিডিয়া24

বিএনপির শীর্ষ নেতারা কিছু দিন ধরেই বলছেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন। আসলে দ্রুতই কি দেশে ফিরছেন তিনি? দলের অভ্যন্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার তারিখ এখনো সুনির্দিষ্ট হয়নি। তার দেশে ফেরার ইস্যুটির একদিকে যেমন আইনি দিক রয়েছে, অন্যদিকে এটি রাজনৈতিক বিষয় বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন তা নিয়ে বিএনপির সর্বস্তরে নানান ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘লিডার আসছে’, এ ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। আসলে তিনি ঠিক কবে ফিরবেন, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত কোনো দিনক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি মামলায় সাজা হয়, তার মধ্যে একটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দ্রুততম সময়ে এসব মামলায় খালাস পেলে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে বিএনপিতে আলোচনা রয়েছে।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি, নাশকতা, গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী ৮০/৮২টির মতো মামলা দায়ের করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৭টি মামলা হয়। তারেক রহমানের মামলাগুলোর মধ্যে ৬২টির মতো মানহানির মামলা বলে জানান তার আইনজীবীরা।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ বিষয়ে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৮০ থেকে ৮২টি মামলা করা হয়েছিল। ৫টি মামলায় তার দণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে খালাস পেয়েছেন। বাকি চারটি আদালতে বিচারাধীন আছে, এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। তিনি জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত তারেক রহমানের মোট ৩৯টি মামলা বাতিল বা খারিজ কিংবা খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। আর বাকি ৩৮টির মধ্যে কোনো কোনো মামলা বাতিল হয়েছে, আবার কোনোটি খারিজ হয়েছে।

আরো সংবাদ


AD HERE