আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করি : যুক্তরাষ্ট্র
- Mon, 13 Nov 2023
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সরকার নির্ধারণ করা উচিত এর জনগণের মাধ্যমে। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ মন্তব্য করেছেন।
এখানে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ অংশের প্রশ্নোত্তর তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন : মি. মিলার আমার নাম জ্যাকব মিল্টন। আমি বাংলাদেশের একটি সাপ্তাহিকীতে কাজ করি এবং 'উই আর দি পিপল' এবং নাগরিক টিভিতেও কাজ করি। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ ও ঢাকা হলো গাজার মতো আরেকটি উত্তপ্ত স্থান। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে এটি খুব শিগগিরই গাজা উপত্যকায় পরিণত হবে। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ। এখানকার ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ লোক গণতন্ত্রের অনুকূলে এবং অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তমূলক নির্বাচন চায়। যুক্তরাষ্ট্র যখনই মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া-সংশ্লিষ্ট ভূমিকা পালন করতে শুরু করে, তখনই বাংলাদেশের নাগরিকেরা খুবই আশাবাদী হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সব বড় দলই [মার্কিন রাষ্ট্রদূত] পিটার হাসের এবং অন্যান্য দেশের অন্যান্য কূটনীতিকদের সাথে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কেন বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা করছে? এতে কি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না যে আমাদের দেশকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের কাছে ইতোমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছে?
মিলার : ঠিক আছে, আমাকে...
প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বাস করে যে ভারতের বিজয়ীরা বাংলাদেশে যেকোনো কিছু করতে পারে?
মিলার : আমি কেবল এটুকুই বলছি যা আমি আরো অনেকবার বলেছি, অর্থাৎ আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সমর্থন করি। আমরা মনে করি যে বাংলাদেশের ভবিষ্যত সরকার নির্ধারিত হওয়া উচিত এর জনগণের মাধ্যমে।
প্রশ্ন : আমার একটি পরিপূরক প্রশ্ন আছে, প্লিজ।
মিলার : আপনি একটির মধ্যে তিনটি করেছেন। আমি সামনে যাচ্ছি।
প্রশ্ন : ধন্যবাদ, ম্যাট। সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধীদের মধ্য সংলাপের তাগিদ দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বেশির ভাগ বিরোধীদলীয় নেতা কারাগারে থাকলে কিভাবে আলোচনা হতে পারে? আমি আশ্চর্য হচ্ছি, সরকার দমন অভিযান চালাতে থাকায় বিরোধী দলের কে চিঠিটি গ্রহণ করলেন? এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে সংলাপ হতে পারে?
মিলার : আমি আবারো বলছি, অনেক রিপোর্টারের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদির প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করাকে আমি সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। আমরা এক দলের বিপরীতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করি।